প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

হাজী মোঃ শামসুদ্দীন বিশ্বাস নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ২০১২ সালে খুলনা বিভাগের সবচেয়ে গভীরতম বাওড় নিত্যানন্দপুর গ্রামে। এই গ্রামের উত্তর পাশে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে গড়ে উঠেছে হাজী মোঃ শামসুদ্দীন বিশ্বাস নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি । নিত্যানন্দপুর গ্রামটি মফস্বল এলাকা। এই গ্রামের অধিকাংশ লোকই ছিল অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিত। পার্শবর্তী বিদ্যালয়টিও ছিল ০৫ কিঃ মিঃ দূরে । যার ফলে এখানকার মানুষগুলো শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল। পার্শবর্তী গ্রাম গোলকন গরের এক ব্যাক্তি ছিলেন সু-শিক্ষায় শিক্ষিত মোঃ নজরুল ইসলাম। তিনি সর্ব প্রথম বুঝতে পারেন নিত্যানন্দপুর গ্রাম সহ আরো দশ গ্রামের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য নিত্যানন্দপুর গ্রামে বাওড়ের উত্তর পার্শে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। তাই তিনি নিত্যানন্দপুর গ্রাম সহ পার্শবর্তী গ্রাম কাকুড়িয়াডাঙ্গার বিত্তবান ব্যাক্তিদের সাথে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনা সভা শুরু করেন এবং তার অলোচনায় সভায় সকলেই একমত হন। কাকুড়িয়াডাঙ্গার রাজা বিশ্বাস স্কুল প্রতিষ্ঠা করার জন্য ৪০,০০০০০ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হন আর নিত্যাননপুর গ্রামের জাফর বিশ্বাস ১ একর জায়গা দিতে রাজি হন। বিদ্যালয়ে সঠিক ভাবে পাঠ দেওয়ার জন্য নিত্যানন্দপুর গ্রাম সহ আর পার্শবর্তী গ্রাম থেকে শিক্ষিত বেকার যুবক পার্ট টাইম শিক্ষক হিসেবে পাঠদান কার্যে অংশগ্রহন করেন। প্রথম পর্যায়ে বিদ্যালয়ের বিল্ডিংয়ের কাজ ও মেরামতের জন্য পাঠ দানের ব্যবস্থা করা হয় বাওড়ের পাশে। সেখানে গ্রামের মানুষের আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি গড়ে ওঠে । অতপর বিদ্যালয়টি ০১/০১/২০১৫ ইং তারিখে ( ৬ষ্ঠ- ৮ম ) শ্রেনি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি পায় এবং ০১/০১/২০১৮ ইং তারিখে স্বীকৃতি পায়। শিক্ষকদের পাঠ পরিকল্পনায় প্রতি বছর শত ভাগ পাঠের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করে আসছে। এই বিদালয়ের লেখাপড়ার মান খুবই ভালো। বিদ্যালয়ে ওয়াস ব্যবস্থা উন্নত এবং বিদ্যলয়ের সামনে খেলার মাঠ আছে সাথে বৃক্ষ রোপন করা আছে।এই বিদ্যালয়ের আশেপাশে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক উন্নত।২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে এই বিদ্যালয়ে গড়ে ওঠে চারতলা ভীত বিশিষ্ঠ এক তলা ভবন এবং এই বিদ্যালয়টি ০৬/০৭/২০২২ সালে এমপিও ভুক্ত হয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষকগন এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগকৃত। আমি এই বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করি।
সভাপতির বাণী

পড়! তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন (সূরা-আল্লাক্ব :১)। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষা শিক্ষাব্যবস্থাকে বেগবান ও আধুনিকায়ন করতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসসহ বিভিন্ন স্তরে তথ্য-প্রযুক্তি যে অবদান রাখছে তার জন্য বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ।
প্রধান শিক্ষকের বানী

আমি রনজিৎ বিশ্বাস ( প্রধান শিক্ষক )এই মর্মে প্রতিবেদন প্রনয়ন করছি যে, অত্র হাজী মোঃ শামসুদ্দীন বিশ্বাস নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে অত্র এলাকার সকল মানুষের সঙ্গে নিয়ে সহযোগিতা মূলক ভাবে শিক্ষক, শিক্ষিকা,অভিভাবকগন, ছাত্র/ছাত্রীদের সঙ্গে মত বিনিময়ের মধ্য দিয়ে স্কুলের উন্নয়ন করে যাচ্ছি। গরীব, মেধাবী ছেলে মেয়েদের বিনা বেতনে পড়া লেখার সুযোগ করে দিচ্ছি। আমি চাই অত্র মফস্বল এলাকার ছেলে মেয়েদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলব এবং অত্র প্রতিষ্ঠানকে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলব । এটাই আমার অঙ্গিকার।